তালায় শশুড়-শাশুড়ী-ননদের শারিরীক ও মানসিক অত্যাচারে নিরুপায় গৃহবধু শিমু

Date:

Share:

তালা(সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ
তালার উত্তর বারাত গ্রামের গৃহবধূ গ্রাম ডাক্তার ফরিদা আক্তার শিমু শশুড়-শাশুড়ী-ননদের শারিরীক ও মানসিক অত্যাচারে নিরুপায় হয়ে স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তির দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

ঘটনার বিবরণে জানাযায়, ২০২০ সালে চুকনগর গ্রামের মৃত মতলেব সরদারের বড় কন্যা ফরিদা আক্তার শিমু সহিত তালার বারাত গ্রামের মুক্তার আলীর ছেলে হারুন অর রশিদের ইসলামী শরিয়াত মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের কয়েক মাস পর হতে গ্রাম ডাক্তার শিমুর শশুড়-শাশুড়ী জমি রাখার কথা বলে ৮০ হাজার টাকা দাবি করেন। তার শশুড়-শাশুড়ীর কথা মত গ্রাম ডাক্তার শিমু ৮০ হাজার টাকা তুলে দেন। সেই টাকা দিয়ে আনন্দ নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে জমি বন্ধক রাখেন তার শশুড়-শাশুড়ী। পর্যায় ক্রমে তার কাছ থেকে এভাবে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে মুকন্দর জমি বন্ধক ও ৮০ হাজার টাকা নিয়ে ছাত্তারের জমি বন্ধক রাখে। এমনকি বিয়ের কিছু দিন পরে গ্রাম ডাক্তার ফরিদা আক্তার শিমু গর্ভবতি হলে তরকারী সাথে বিষ মিশিয়ে ৬ মাস ৭ দিনের বাচ্চা নষ্ট করে দেয় তার শশুড়-শাশুড়ী। প্রতিনিয়ত তার কাছে টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে । টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে বেধড়ক মারপিট করে। এসময় তার ননদ নারিগস বেগম ও তার স্বামী আরিজুল ইসলাম এসেও তাকে নির্যাতন করতে থেকে। সর্বশেষ বেশ কয়েকদিন আগে গ্রাম ডাক্তার শিমুর পিতার রেখে যাওয়া চুকনগের দুতলা বাড়ি বিক্রয় করে তার শশুড় শাশুড়ীর হাতে তুলে দিতে বলে। সে উক্ত বাড়ি বিক্রয় করতে অস্বীকার করায় তাকে বেধড়ক মারপিট করে শিমুর গলায় থাকা হার ও কানে থাকা কানের দুল ছিনিয়ে নেন।

এবিষয়ে গ্রাম ডাক্তার শিমু বলেন, তিনি ১২ বছর বয়স থাকা অবস্থায় তার পিতা মারা যান। ভাইবোনদের মধ্য বড় হওয়া সে সকলকে বিয়ে দিয়ে শেষে নিজে বিয়ে করেন। সে গ্রাম ডাক্তার হওয়ায় টাকা ইনকাম করার সুবাদে বিয়ের পর থেকে তার শশুড় শাশুড়ী ননদ লাগাতার ভাবে বিভিন্ন সময় টাকা চেয়ে নির্যাতন করে আসছে। সর্বশেষ আমার পিতার বাড়ি বিক্রয় করে দিতে বলে। আমি দিতে অস্বীকার করায় আমাকে বেধড়ক মারপিট করে মাথায় রক্তাক্ত জখম করে ফেলে রেখে চলে যায়। তার স্বামী সাধাসিধে ও নরম স্বভাবের মানুষ হওয়ায় তার উপর দিনের পর দিন অত্যাচারের মাত্রা বেড়েই চলছে। এখন তার শশুড় শাশুড়ী তার দেওয়া টাকা পয়সা ফেরত না দিয়ে তাকে তালাক দেওয়ার জন্য পায়তারা করে বেড়াচ্ছে। সে নিরুপায় হয়ে এলাকার গন্যমাণ্য ব্যক্তির কাছে ধন্যা দিচ্ছেন।

স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি ও শিমুর বড় শশুড় মো. করিম মোড়ল জানান, তার ভাই ও শিমুর শশুড় মুক্তার আলীর কে কখনও কাজ করতে দেখিনি। তার ভাই ও ভাবি মিলে তাদের বৌমার কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে দিন পরিচালনা করেন। এবং তাদের বৌমাকেও মারপিট করেন। তারা বারংবার ভাই ও ভাবিকে বৌমার প্রতি অত্যাচার করতে নিষেধ করলেও তা কর্ণপাত না করে অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। যা এলাকার সকলে জানেন।

এবিষয়ে গ্রাম ডাক্তার শিমুর শশুড় শাশড়ীর সাথে দেখা করতে তাদের বাড়িতে গেলে তারা কেউ বাড়িতে ছিলেন না।

অসহায় গৃহবধূ শিমু তার শশুড়-শাশুড়ী-ননদের এমন অসহনীয় অত্যাচরের হাত থেকে রক্ষা পেতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।