তালায় আটারই কালভার্ট ভেঙ্গে জনভোগান্তি চরমে!

Date:

Share:

তালা প্রতিনিধি
তালার মধ্য আটারই বেলেখালী কালভাটটি রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে মধ্যস্থল ভেঙ্গে পড়ায় মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-খাটো দূঘর্টনা। যেকোন মূহুর্তে সড়কটির যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংকা রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তালা সদরের আটারই গ্রামের মধ্য আটারই-খেজুবুনিয়া বাজার রোডের বেলেখালী নামক স্থানে জনবহুল এলাকার কালভার্ট টি ভেঙ্গে পড়েছে। এলাকাবাসী বাঁশের চটার ঝড়াত তৈরী করে পটি মেরে কোন রকম জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে। যে কোন সময় কালভাটটি ভেঙ্গে পরে উক্ত এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হতে পারে।

এলাকাবাসী জানান, পাঁচ ছয় মাস আগে হঠাৎ কালভার্টের মাঝখান ভেঙ্গে পড়ে এতে খেজুরবুনিয়া বাজার ও আটারই গ্রামের যোগাযোগ ব্যাবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় এলাকার লোকজন বাঁশের চটার ঝড়াত তৈরী করে কালভাটের ভেঙ্গে পড়া মধ্যস্থলে পর্টি মেরে ঢেকে দিয়েছেন। যার ফলে কোন রকম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। যে কোন সময়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে এই কালভার্টে। বাঁশের চটা ভেঙে পড়ে যে কোন সময়ে প্রাণহানি সম্ভবনা রয়েছে।

আটারই গ্রামের মোঃ হায়দার আলী মোড়ল, মোঃ নাজমুল ইসলাম সরদার, মোহাম্মাদ আলী মোড়ল, মোঃ হালিম সরদার ,মোঃ রেজাউল গোলদার, মোঃ হোসেন আলী সরদার, শিক্ষক মোঃ নাসির উদ্দিন আরও জানান, মধ্য আটারই প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এজেএইচ বালিকা বিদ্যালয়,খেজুরবনিয়া জেএনএ পল্লী মঙ্গল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খেজুরবুনিয়া বাজারে জেয়ালা নলতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,ঝাউতলা দাখিল মাদ্রাসা ও শিশু একাডেমীর কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দৈনন্দিন কালভার্ট পারাপার হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন শিশু কালভার্টের মধ্যস্থলের ছিদ্র দিয়ে খালে পড়ে যায়। পথচারীরা দেখতে পেয়ে তাদের তাৎক্ষণিক উদ্ধার না করলে জীবনহানীর সম্ভাবনা ছিল।

কোমলমতি শিশু ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি, তাদের জীবনের নিরপত্তার কারণে জনগুরত্বপূর্ণ কালভার্টটি জরুরী ভিত্তিতে পুনঃ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

নবাগত তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপা রানী সরকার জানান, তিনি যোগদান করার পর জনগুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি সর্বাগ্রে বিবেচনা করবেন। তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মোঃ মাসুদুর রহমান কে বিষয়টি অবহিত করার পরামর্শ প্রদান করেন। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত ইউএনও,র সাথে বারংবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।