তালায় কৃষককে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে হত্যা

Date:

Share:

তালা(সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
তালায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রকাশ্য দিবালোকে মকছেদ আলী শেখ (৫৬) এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ও অফিসার ইনচার্জ তালা থানা পরিদর্শন করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

বুধবারা(২৮ শে মে) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে তালার হরিহরনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, তালা থানার হরিহরনগর গ্রামের মৃত ওমর আলী শেখের পুত্র মকছেদ আলী শেখ (৫৬) এর সহিত তার আপন ভাই মোঃ মুনছুৃর আলী শেখ ও শহিদুল শেখ এর সাথে পারিবারিক জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। তার ইন্ধনে গত কয়েকদিন পূর্বে খুনের স্বীকার মোকছেদ আলী শেখে এর বাড়িতে আগুন দিয়ে বসতবাড়ী পুড়িয়ে দেয়। তার চাচাতো ভাইদের সাথে আপন ভাই মুনছুরের ইন্ধনে প্রকাশ্য দ্বন্ধ চলছিল। তাকে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে আসছিল এই চক্রটি।

গতকাল বুধবার বিকালে সাড়ে তিনটার দিকে মোকছেদ আলী শেখ আতপ ধান পাটিতে শুকানোর জন্য নেড়ে দেন। সেখানে প্রতিবেশী চাচাতো ভাই গরু ছেড়ে দিয়ে পাটিতে রৌদে শুখাতে দেওয়া ধান গরু দিয়ে খাওয়াই দিচ্ছিল । এঘটনা প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষরা তার ভাই মুনছুর এর ইন্ধনে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে মাথা ফেটে রক্তাত অবস্থায় বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ঘটনাস্থলে হত্যা করে। নিহত দুই কন্যা ও একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। পুত্র সন্তানের নাম হুমায়ন শেখ (২২), দুই কন্যার মধ্যে একটি কন্যা প্রতিবন্ধী অপরটি বিবাহ দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য জানান, নিহত মকছেদ আলীর শেখের একমাত্র পুত্র হুমায়ন শেখ (২২) এর নামে তার দাদা মৃত ওমর আলী শেখ বাস্তভিটা হতে ১৫ শতক জমি দান পত্র দলিল করে দেন। এই আক্রোশে নিহতের দু,ভাই শহিদুল শেখ ও মুনছুর শেখ তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন মামলা মোকাদ্দমা দিয়ে হয়রানী করে আসছিল। এবং নিহতরা ৫ ভাই পৈত্রিক সূত্রে ৮-১০ বিঘা জমি প্রাপ্ত হন। কিন্তু নিহত মকছেদ শেখের মাত্র দেড় বিঘা জমি দেওয়া হয়। এ বিবাদ নিয়ে স্থানীয় ভাবে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার বারংবার সালিশী বৈঠক করলেও তার মেনে নেননি ওই দুই ভাই।

তালা থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ শাহিনুর রহমান জানান, খবর পাওয়া মাত্র সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাসানুর রহমান সহ আমি নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। হত্যা সাথে জড়িতরা পলাতক রয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা প্রক্রিয়াধীন।