মব জাস্টিস কায়েম করার চেষ্টায় মরিয়া তারা
তালা প্রতিনিধিঃ
তালায় সাংবাদিকের রেকর্ডীয় সম্পত্তি খাস বলে প্রচার করে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার মাধ্যমে তিনতলা পাকা বসত বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে বাস্তচ্যুত করার পায়তারা চালাচ্ছে একটি প্রতারক চক্র।
অবৈধ উপায়ে বাস্তুভিটাচ্যুত রোধকল্পে তালা সহকারী জজ আদালতে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দাবিতে দেওয়ানী ১৭/২৫ নং মামলা রুজু করার পর ওই চক্রের হোতাদের বিরুদ্ধে আদালত কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করেন। এরপরও ওই চক্র গত ১১ এপ্রিল শুক্রবার একটি কুচক্রী মহল সাংবাদিক পরিবারকে বাস্তুচ্যুত করতে মব জাস্টিস কায়েম করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারই ধারবাহিকতায় এডিপি টেন্ডারের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মো. রাসেল ও উপজেলা প্রকৌশলী রথীন্দ্র নাথ হালদার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য টেন্ডার আহব্বান করেন। টেন্ডারমূলে হাসপাতালের দক্ষিন পাশের সাংবাদিক জলিল আহমেদ ও আব্দুস ছাত্তারের তিন তলা ও দুই তলা পাকা ভবনের উত্তর পাশ দিয়া পানি নিষ্কাষনের পাকা ড্রেনের কার্যক্রম প্রায় শেষ করেন। ওই প্রকল্প টি বাস্তবায়ন হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ জলবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পাবে। কিন্তু ওই প্রতারক চক্রের আসল উদ্দেশ্য সাংবাদিক জলিল আহমেদ ও আব্দুস ছাত্তারের বাস্তুভিটাচ্যুত করা করা। সেকারনে তারা প্রকল্পটির ড্রেন ভাংচুর করে ঠিকাদারের রড, সিমেন্ট, বালি,ইট লুট করে নিয়ে যায়। প্রকল্পে সভাপতি সার্জেন্ট আব্দুর রহিম জানান, উক্ত মালামাল লুট ও নির্মান করা পানির ড্রেন ভাংচুর করার কারণে তার দুই লক্ষ টাকার ক্ষতি করা হয়েছে।
সার্ভেয়ার মো. খলিলুর রহমান ও সার্ভেয়ার মো. জিয়াউর রহমান জানান, সরজমিনে মাপজরিপ পূর্বক তালা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর দক্ষিণপাশের ৮৯ নং তালা মৌজার সাবেক ২১২,২১৩,২১৫ হাল ২০৪৭ দাগের ডিপি খতিয়ান নং ৬৭৭ জমির পরিমান ১ একর ২০ শতক। এর মধ্যে আপত্তি স্তরে তাদের পিতার খরিদকৃত দলিল মূলে ১০ শতক সম্পত্তি সরকারী সেটেলমেন্ট অফিসের সার্ভেয়ার সরেজমিনে মাপ জরিপ করে বিল্ডিং বাড়ি সহ ৮ শতক সম্পত্তি দখলে থাকায় উক্ত ডিপিতে আট শতক জমি পৃথক খতিয়ানে তাদের দুই ভাইয়ের নামে রেকর্ড প্রাপ্ত হয়। যা ডিপি ৬৭৭ খতিয়ানে তাদের দু,ভাইয়ের নামে সমান অংশে রেকর্ড ভুক্ত হয়েছে।তারা আরও জানান, সাবেক ২১৮ দাগ বর্তমান ২০৪২ চলমান পিচের রাস্তা যা জনসাধারনণের চলচলের ব্যবহৃত হচ্ছে। তাদের বসত ভিটার মধ্যে কোন খাস সম্পত্তি নাই।
সাংবাদিক জলিল আহমেদ জানান, তার স্ত্রী ফারজানা আক্তারের নামে সিরাজ উদ্দীন শেখের নিকট থেকে পৃথক দুইটি দলিলে ক্রয়কৃত ৪.৫০ শতক সম্পত্তি যাহা ৬০৪ খতিয়ানে হাল ২০৪৮ দাগে জরিপে রেকর্ড প্রস্তুত হয়েছে। ফলে সর্বমোট ১২.৫০ শতক রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে তারা ২ তলা ও ৩ তলা বিশিষ্ট পাকা বিল্ডিং নির্মাণ করে শান্তি পূর্ণভাবে দীর্ঘ ৬৫ বছর তার পিতা ও তারা বসবাস করে আসছে। কিন্তু উক্ত সম্পত্তি খাস খতিয়ান ভুক্ত সম্পত্তি বলিয়া প্রচার করে বৈধ মালিকানা সম্পত্তি থেকে ভিটাচুত্য করার পায়তারা চালাচ্ছে একটি স্বার্থনেষী মহল। আতংকগ্রস্ত হয়ে দু,টি পরিবার দিনাতিপাত করছেন। এবিষয়ে প্রতিকারের জন্য প্রধান উপদেষ্টা,বিভাগীয় কমিশনার,জেলা প্রশাসক এর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
