তালা প্রতিনিধিঃঃ
খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস দূর্নীতি ও দালালমুক্ত ভূমিসেবা নিশ্চিত করতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন সদ্য যোগদানকারি জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার মোহাম্মদ ইউসুপ আলী। দূর্নীতির আখড়ায় পরিনত অফিসটি ইতিমধ্যে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে নিজেকে দূর্নীতিমুক্ত রেখে দায়িত্ব পালনের কারনে অফিসটি জনগনের আস্থা অর্জন করতে শুরু করেছে।
একাধিক প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, সাবেক জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার রাজীব আহমেদ ব্যক্তিগত লাভবান হয়ে যা খুশী তাই করেছেন। মুহুরী নামক দালাল ও উকিল নামক সাবেক সহকারি সেটেলমেন্ট অফিসার এ্যাডভোকেট প্রদীপ ভট্রাচার্জ্য আইনের অপব্যাখ্যা দিয়ে তার অপকর্মে সহায়তা করতেন। ভায়ড়া মৌজার ৯৮৮/২৪ মিস মামলায় তঞ্চকি দলিল ও তঞ্চকি মিউটেশনের মাধ্যমে কবরস্থান বাস্তভিটা পুকুর এর প্রিন্ট খতিয়ান থেকে বেআইনি ভাবে ৫৩৩ ধারায় ২৬ শতক জমি কর্তন ভিন্ন লোকের নামে রেকর্ড প্রদান করেন। তালা মৌজার মিস কেস নং ৮৩৬ /২০২৩ উক্ত কেসে ডিপি নং- ৩৫ জমির পরিমান ২ একর ৭৩ শতক ১৯৯০ সালে ৯ এর কলামে দখল নোট ৩০ ধারা আপত্তি স্তরে এক নং ক্রমিকে আকিমুদ্দিন শেখের নামের নিচে গ্রুপ লাইন টেনে ১০ নং ক্রমিকের অত্র খতিয়ানে আবুল কাশেম গংদের দখল নাই। ৩১ ধারায় উক্ত রায় বহাল থাকে। তালা মৌজার মিস কেস নং ৭০১, মিস কেস নং-৭০২ মাঝিয়াড়া মৌজা সহ বিভিন্ন তালার মৌজায় প্রতারণা মূলক অন্তুভুক্তি ছেদনের নামে হাজার হাজার মানুষের ৫৩৩ ধারা ও ৪২(ক) ধারার অপপ্রয়োগ করে ক্ষতিসাধন করেন। তার বিরুদ্ধে দুটি বিভাগীয় মামলা চলছে।
কিন্তুু বর্তমান জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার মোহাম্মদ ইউসুপ আলী খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এ.ডি.এম পদে দক্ষতা ও বিচাক্ষণতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার এই কর্মযজ্ঞে সহয়তা করছেন জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের চার্জ অফিসার শুভ্রা দাস। বিগত একমাস জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে যোগদানের পর দুই শতাধিক মামলা শুনানি ও নিষ্পত্তি করেছেন। মাঝিয়াড়া মৌজা ভূমি সেবা গ্রহীতারা ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে এমন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে মুহুরি নামক দালাল রা বর্তমান জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস কে নিয়ন্ত্রনে নেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে এখনও সফল হয়নি।
বর্তমান অফিসার ভূমি সেবা নিশ্চিত করতে তিনি সাজানো বাদি ও বিবাদি যাতে প্রতারনার মাধ্যমে রেকর্ড সংশোধন করতে না পারে সে জন্য তাদের সনাক্ত করতে জাতীয় পরিচয় পত্র দ্বারা পক্ষ প্রতিপক্ষকে সনাক্ত নিশ্চিত করে আইনের সুরক্ষা প্রদান করছেন। কেউ প্রতারনার মাধ্যমে রেকর্ড সংশোধনী করার চেষ্টা করলে বিবাদী পক্ষ অনুপস্থিত বা নোটিশ না জারি করে বা ভিন্ন কাউকে বিবাদি করে গোপনে একতরফা রেকর্ড সংশোধন করার চেষ্টা করলে তিনি নিজেই আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপক্ষ হয়ে খতিয়ে দেখে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করছেন।
তালার মাঝিয়াড়া মৌজার প্রতারক আবুজাফর শেখ মিস কেসের বাদী হয়ে বিবাদী মৃত বিপ্লব শেখ এর নামের প্রিন্ট পর্চা তার ওয়ারেশদের গোপন করে রেকর্ড করে নিচ্ছিল গত ৩০ শে এপ্রিল এবং উক্ত তারিখে অপর আরেকটি মামলায় একই প্রতারক আবু জাফর শেখ শিবপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল লতিফ শেখ, মৃত আব্দুল গফুর শেখ এর নামে ১৯৯০ সাল থেকে প্রিন্টপর্চা পর্যন্ত প্রাপ্তির পর তাদের দখলে থাকা জমি তঞ্চকি দলিল সৃষ্টি করে শিবপুর গ্রামের হত্যা মামলার পলাতক আসামি মোঃ আবু জাফর শেখ এর পক্ষে আরেক ভাই প্রতারক আব্দুল হামিদ শেখ এর মাধ্যমে প্রকৃত জমির মালিকের নাম কর্তন করে তার নামে রেকর্ড করার চেষ্টা করে। তবে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার ভোটার আইডি কার্ড সহ দু,পক্ষ কে হাজির হওয়ার নির্দেশ প্রদান করলে প্রতার চক্র সফল হতে পারেনি।
