শি-মোদি বৈঠকঃ প্রতিদ্বন্দ্বীতা নয় অংশীদারত্ব বৃদ্ধির অঙ্গীকার

Date:

Share:

বহু বছরের সীমান্ত বিরোধসহ নানা উত্তেজনার পর অবশেষে ভারত ও চীনের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা আরও গভীর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুই দেশের শীর্ষ নেতা। সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও)-এর সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি ও এনডিটিভি।

বিবিসির খবরে বলা হয়, প্রায় সাত বছর পর এই প্রথম চীনের মাটিতে পা রাখলেন মোদি। বৈঠকে প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ সম্পর্ক এড়িয়ে অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানান শি জিনপিং। জবাবে দুই দেশের মধ্যে এখন শান্তি ও স্থিতিশীলতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মোদি। এছাড়া দুই দেশের অর্থনীতি এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সহজ করার ওপর জোর দেন তারা। এক্ষেত্রে তৃতীয় কোনো দেশের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রাধান্য না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মোদি।

এই সম্মেলনে ২০টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান অংশ নিচ্ছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে এই বছরের সম্মেলন কিছুটা চাপা পড়ে গেছে। ভারতের বিরুদ্ধে রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখার শাস্তি হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় পণ্যের ওপর কঠোর শুল্ক আরোপ করেছে।

অন্যদিকে, ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও নিষেধাজ্ঞার হুমকির মুখে রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের সম্পর্কে যখন টানাপোড়েন চলছে, তখন মোদি চীনের আরও কাছে আসছেন। জনসংখ্যায় বিশ্বের বৃহত্তম এ দুই দেশ। পাশাপাশি বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও তাদের অবস্থান প্রথম সারিতে। ২০২০ সালে হিমালয় সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে মারাত্মক সংঘর্ষের পর থেকে চীন ও ভারতের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল বন্ধ ছিল। মোদি ঘোষণা করেন যে এই পরিষেবা পুনরায় চালু হবে, যদিও তিনি এর কোনো সময়সীমা জানাননি।
প্রেসিডেন্ট শি বলেন, দুই দেশের উচিত কৌশলগত উচ্চতা ও দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের সম্পর্ককে দেখা এবং পরিচালনা করা। তিনি আরও বলেন, বন্ধু হওয়া উভয় পক্ষের জন্যই সঠিক পছন্দ।

এসসিও সম্মেলনটি মূলত একটি প্রতীকী আয়োজন, যা নেতাদের পারস্পরিক অভিযোগ ও স্বার্থ নিয়ে কথা বলার সুযোগ করে দেয়। এই সম্মেলনটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বেইজিংয়ে একটি বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, পুনরায় বিমান চলাচল চালু থেকে শুরু করে অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থিতিশীল করার ওপর জোর দিয়েছেন মোদি ও শি।