তালায় জামায়াতে ইসলামী ছাত্র ও যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত
তালা প্রতিনিধি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, “বিএনপি এখন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার কথা বলে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সুরে কথা বলছে। কোন প্রকার প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে জামায়াতে ইসলামীর অগ্রযাত্রা রোধ করা যাবে না।” তিনি বলেন, “সাতক্ষীরার প্রতিটি আসনে এখন দাড়িপাল্লার জোয়ার উঠেছে। শুধু সাতক্ষীরা নয়, নতুন বাংলাদেশের জনগণ দাড়িপাল্লায় ভোট দিতে প্রস্তুত।”
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে তালা পুরাতন বিদে হাইস্কুল মাঠে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত ছাত্র ও যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সভায় উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মফিদুল্লাহর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম।
অনুষ্ঠানে উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ইদ্রিস আলীর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন খুলনা অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, সাবেক জেলা আমীর হাফেজ রবিউল বাসার, সাতক্ষীরা জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, নায়েবে আমীর ডা. মাহমুদুল হক, জেলা সেক্রেটারি আজিজুল ইসলাম, ডুমুরিয়া জামায়াতে ইসলামী অমুসলিম শাখার সভাপতি কৃষ্ণ নন্দী, খুলনা জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন, সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক সুজায়েত আলী, সাতক্ষীরা জেলা যুব জামায়াত সভাপতি ওমর ফারুক এবং জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি জুবায়ের হোসেন প্রমুখ। সমাবেশে সাতক্ষীরা সহ আশে পাশের উপজেলা থেকে শত শত জামায়াতে ইসলামীর অনুসারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক পরওয়ার আরও বলেন, “হিন্দু মানেই আওয়ামী লীগ—এ ধারণা ভুল। তালা-কলারোয়ার হিন্দুরা যদি দাড়িপাল্লায় ভোট দেন, তারা সবচেয়ে নিরাপদ থাকবে।” তিনি অতীতের শহিদ ও নেতাদের স্মরণ করে বলেন, “জামায়াতে ইসলামী জনগণের অধিকার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার রাজনীতি করে।”
এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, “৫ আগস্টের পর একটি দল দেশজুড়ে দখলবাজি ও চাঁদাবাজি শুরু করেছে। মানুষ এখন শান্তি ও ন্যায়ের রাজনীতি চায়, যার প্রতীক দাড়িপাল্লা।” তালা-কলারোয়াকে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত করা এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই জামায়াতে ইসলামীর মূল লক্ষ্য।
